ঢাকা, ০৬ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): ঈদ উপলক্ষে কোটিরও বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। গণ-পরিবহনের পাশাপাশি রিকশার জটলাও তেমন নেই। তাই ঢাকার রাস্তা পুরোপুরি ফাঁকা! যে কারণে এক স্পট থেকে অন্য স্পটে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকত সেখানে নির্বিঘ্নে যাচ্ছেন যাত্রীরা। সাভার পরিবহণের চালক জানালেন, সদরঘাট থেকে তাদের সাভার যেতে একঘণ্টাও লাগছে না। বৃহস্পতিবার সকালের ট্রিপে মাত্র ৪০ মিনিটে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এসেছেন।
শুধু সদরঘাট সাভার রুটই নয়, ফাঁকা ঢাকায় গুলিস্তান-মিরপুর,গুলিস্তান-আব্দুল্লাহপুর, গুলিস্তান-গাজীপুরসহ সব রুটেই অন্য সময়ের চেয়ে অর্ধেকেরও কম সময় যেতে পারছেন যাত্রীরা। আর যানজট ছাড়া ঈদে এমনভাবে চলতে পেরে যাত্রীদের পাশাপাশি চালকরাও খুশি। তবে যাত্রী কম থাকায় কিছুটা মন খারাপ বাসের স্টাফদের। এজন্য অবশ্য ‘ঈদ বোনাসের’ কথা বলে কিছু বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন তারা।যাত্রীদের কেউ কেউ এ নিয়ে মৃদু প্রতিবাদ করলেও অনেকে ঈদের কথা বিবেচনা করে পাঁচ থেকে দশ টাকা বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন।
সাভার পরিবহণের চালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যখন বেশি জ্যাম থাকে তহন (তখন)সাভার থেকে ভিক্টোরিয়া পার্ক আসতে তিন থেকে চার ঘণ্টাও লাগত। নরমাললি (স্বাভাবিকভাবে)দুই ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা ৪০মিনিট লাগে।ঈদের সময় তো এক ঘণ্টাও লাগে না। পুরা ফাঁকা। টান দিয়ে চইলা যাই।’
ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে মিরপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিহঙ্গ পরিবহণের চালক রিপন জানান, রাস্তায় মেট্রোরেলের কাজ চলায় তো বেশি সময় লাগত। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা তাই সময় লাগছে খুব কম। আগের থেকে অর্ধেক সময়ে যাওয়া আসা করতে পারছি।তবে যাত্রী অনেকটা কম।
তবে গুলিস্তান থেকে মাওয়া এবং নবাবগঞ্জ,দোহার এলাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের দেখা গেছে। বাসগুলো যততত্র পার্ক করায় এখানে কিছুটা যানজট দেখা গেছে।
কচুক্ষেত ক্যান্টনমেন্ট থেকে পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে খালার বাসায় ঘুরতে আসা মাহমুদা আক্তার তামান্না বলেন, ‘ঈদে রাস্তা ফাঁকা। বাসা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে কোথাও জ্যাম হয়নি। গুলিস্তানে বাস উল্টাপাল্টা করে পার্ক করায় একটু জ্যাম ছিল। পরে আবার ফাঁকা। সব মিলিয়ে এক ঘণ্টাও লাগে নাই। সবসময় ঢাকা এমন থাকলে খুব ভালো হত…।
Leave a Reply